
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাদের হল অব ফেমে আরও সাতজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই তালিকায় ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও গ্রায়েম স্মিথ, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন, নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি, এবং দুই নারী ক্রিকেটার পাকিস্তানের সানা মির ও ইংল্যান্ডের সারা টেইলর রয়েছেন। নারী ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য সানা মির ও সারা টেইলরকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়ে সানা মির ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। পাকিস্তানের হয়ে তিনি ১২০টি ওয়ানডে এবং ১০৬টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে ৭২টি ওয়ানডে এবং ৬৫টি টি২০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। ২০১০ ও ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের স্বর্ণপদক জয়ে তাঁর নেতৃত্ব ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সানা মির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫১ উইকেট শিকার করেছেন এবং ২০১৮ সালে ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে ছিলেন।
অন্যদিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি তার ক্যারিয়ারে ভারতকে একাধিক ঐতিহাসিক সাফল্য এনে দিয়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি ভারতের প্রথম টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের নেতৃত্ব দেন। এরপর ২০১১ সালে তার অধীনে ভারত ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে, এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ধোনির নেতৃত্বেই ভারত আইসিসির তিনটি সাদা বলের ট্রফিই জিতেছে। তার সময়ে ভারত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষস্থানে উঠেছিল।
এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং স্তম্ভ হাশিম আমলা দেশটির প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৩১১ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫৫টির বেশি।
অন্যদিকে, গ্রায়েম স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম অধিনায়কদের একজন। তিনি ১০৯টি টেস্ট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে ৫৩টিতে জয় লাভ করেন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ১০০টিরও বেশি টেস্টে অধিনায়কত্ব করার বিরল রেকর্ড গড়েছেন। এছাড়া, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৫০টি ওয়ানডেতেও অধিনায়ক ছিলেন, যা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের নারী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সারা টেইলর। ২০০৯ সালের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি ৪৫ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অসাধারণ উইকেটকিপিংয়ের জন্য পরিচিত টেইলর তার ক্যারিয়ারে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২৩২টি ডিসমিসাল করেছেন।
Comments