
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের রতনা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহটি ঘরে বন্দি রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার (৪ জুন) সকালে নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। আটককৃত আসামী উপজেলার পাঙ্গাসী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে শামীম (২৪)।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসামী শামীম ও তার স্ত্রী রতনা খাতুন ঢাকার গাজীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এর আগে নিহত রতনা খাতুন উপজেলার ঘুড়কা পুরাতন পাড়া এলাকায় নানা বাড়িতে বসবাস করতেন। ৪ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের পারিবারিক ঝামেলা চলছিলো। তাদের ভাড়া বাসায় তালাবদ্ধ দেখে স্থানীয়রা গত মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশের পর লেপ, কম্বল ও কাথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় খাটের ওপর নিহত গৃহবধূর মরদেহটি দেখতে পায়।
এ ঘটনায় গাজীপুরের বাসন থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন ওই গৃহবধূর মা জহুরয়া খাতুন (৪৪)।
নিহতর পরিবার বিষয়টি উপজেলার পাঙ্গাসী এলাকার ইউপি সদস্যকে জানালে স্থানীয় এলাকাবাসী আসামী শামীম হোসেনকে আটক করে বেঁধে রাখে। পরে ঘটনাস্থল থেকে রায়গঞ্জ থানা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় বাসন থানার এসআই আবু সাঈদ ও এএসআই আউলাদ তাকে আটক করে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম মাসুদ রানা বলেন, গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় জনতা আসামীকে আটক করে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় বাসন থানার এসআই আবু সাঈদ ও এএসআই আউলাদ তাকে আটক করে এজাহার দায়ের করা থানায় নিয়ে যায়।
Comments