
মিউনিখের এ মাঠে খেলা হলেই না কি নতুন কোনো দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে। অলিখিত সেই নিয়মই যেন ধরে রাখল ২০২৫। শনিবার রাতে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন পারি সা জার্মেই।
ইউরোপ সেরা হবার অনুভুতি কেমন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখতে হবে পিএসজির উদযাপন। এ যেন অসাধ্যকে সাধন করল লা পারিসিয়ান। এই একটা ট্রফির জন্য কত কিছুইনা করেছে ফরাসি জায়ান্টরা, অবশেষে দিলো ধরা। ডেভিড বেকহ্যাম, রোনালদিনিয়ো থেকে মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেরা যা করে দেখাতে পারেনি, সেটাই করে দেখালেন দেম্বেলে, দুয়েরা।
একই ফ্রেমে আনন্দ-বেদনা, দেড় দশকের খরা কাটানো হলো না নেরাজ্জুরিদের। যাদের কিনা দেড় মাস আগে সুযোগ ছিল ট্রেবল জয়ের, তবে মৌসুম শেষে শূন্য হাতে ফিরল সিমোনে ইনজাঘির দল। তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলেও শিরোপাটা ছোঁয়া হলোনা ইতালিয়ান বসের।
ইতিহাসের পাতায় লুইস এনরিক। ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ একবারের বেশি ট্রেবল জয়ের এলিট ক্লাসে নাম লেখালেন স্প্যানিশ ট্যাকটিশিয়ান। তার আগে এই কীর্তি আছে শুধু পেপ গার্দিওয়ালার।
মিউনিখ দখলে নিয়েছিল পিএসজি সমর্থকরা। তাদেরও হতাশ করেনি পারি সা জার্মেই। প্রথমার্ধেই দুই গোলের লিড। দিজিরে দুয়ের পাস থেকে স্কোরশিটে নাম লেখান আশরাফ হাকিমি। নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে ছিলো না গোল উদযাপন।
প্রথম গোলের কারিগর এবার অনেকটা ভাগ্যের ছোঁয়ায় জালের দেখা পেয়েছেন। সবচেয়ে কম ১৯ বছর বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়লেন দুয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে যেন হাল ছেড়ে দিয়েছে ইন্টার মিলান। ৬৩ থেকে ৮৪ আরও তিন গোল ইতালিয়ান জায়ান্টদের জালে। দুয়ে পূর্ণ করেন জোড়া।
কাভারাৎস্খেলিয়া ও আরেক তরুণ তুর্কি সিনে মায়ুলু জয়ের আনন্দ বড় করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমে ১৩ গোলে অবদান ওসমান দেম্বেলের। পিএসজি জার্সিতে ছাড়িয়ে গেছেন এমবাপ্পেকে। ব্যালন ডি অর জয়ের যোগ্য দাবিদার ফরাসি তারকা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মিউনিখের ইতিহাস অক্ষুণ্ন রইলো। পাঁচ ফাইনালে প্রতিবারই নতুন চ্যাম্পিয়ন পেলো ইউরোপ।
Comments