
১২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করার পর বিয়ে না করায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবীতে দুইদিন অনশনে বসেছিল এক সন্তানের জননী। অবশেষে প্রেমিক ও তার পরিবার বিয়ের দাবী মানায় অনশন ভেঙে বিয়ে করেছেন প্রেমিক যুগল। বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রেমিকা পূজা মন্ডল বলেন, আমার সাথে ১২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। আমার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও, আমার পরিবার প্রথমে একটি ছেলের সাথে বিবাহ দিলে সেখানে ৭ দিন থেকে চলে আসছি।
পরে কচুয়া উপজেলার বানবাড়িয়া এলাকায় আরও একটি ছেলের সাথে জোরপূর্বক আমাকে বিবাহ দেয়, এখানে একটি মেয়ে সন্তান হয় আমার। পরে এই স্বামীকেও প্রেমিক অসিম রায় ডিভোর্স দিতে বললে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি।
তখন বাবার বাড়িতে প্রায় তিন বছর ছিলাম, এখানে আমার কাছে অসিম মাঝে মধ্যে আসতো। বারবার বিবাহের কথা বললেও সে আমাকে বিবাহ করেনি। যার জন্য আমি অসিমের বাড়িতে এসে অনশনে বসেছিলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজেদ হোসেন বলেন, অসিম কুমারের বাড়িতে এক সন্তানের মা বিয়ের দাবীতে অনশন করেছিল। আজ সন্ধ্যায় দুই পরিবারের সম্মতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর নিয়ম অনুযায়ী প্রেমিক ও প্রেমিকার বিবাহ হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি সন্তানের মা বিয়ের দাবীতে অনশন করেছিল। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দুই পরিবারের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ের বিবাহ দিয়েছে।
Comments