Image description

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রোববার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- দোহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক (৬৭), মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার গোয়াগাছিয়া এলাকার জলদস্যু রিপন বাহিনীর প্রধান রিপন (৪১), মোহাম্মদপুর থানা মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. তাওসিফ রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. জুবায়ের আশরাফ আনান (৩৭) ও মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. জুয়েল সরকার (৩৬)।

তালেবুর রহমান বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মো. নুরুল হককে গ্রেফতার করে ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি টিম। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও ও দোহার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একটি দল ৪ মে ভোর রাত আড়াইটার দিকে মতিঝিল এলাকায় থেকে রিপনকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন থানার ২৩টি মামলা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩ মে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত ৯টায় মো. তাওসিফ রেজাকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে বিকাল ৫টায় ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম রাজধানীর বংশাল থানাধীন আলু বাজার এলাকা থেকে মো. জুবায়ের আশরাফ আনানকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একইদিন রাত ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে মো. জুয়েল সরকারকে গ্রেফতার করে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’