
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। এ হামলায় পাকিস্তানের মদদের অভিযোগ তুলেছে ভারত। যদিও তা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। দুই দেশের বিরোধ এখন চরমে রূপ নিয়েছে।
গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। এর জবাবে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তানও।
পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান যে পানি পাবে, তার প্রবাহ থামানো বা অন্যদিকে নেওয়ার যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে পানির প্রবাহ রক্ষায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘কাশ্মীরে গণগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিরোধ দুই দেশকে সম্পূর্ণ যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
খাজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পূর্ণমাত্রার সংঘাতের আশঙ্কায় বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ উভয় দেশেরই পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।’
বিশ্ববাসীর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কিনা, এমন প্রশ্নে জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি তাই। দুটি পারমাণবিক শক্তির সংঘর্ষ সবসময়ই উদ্বেগজনক।
গত তিন দশকে কাশ্মীর নিয়ে চলা সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণ গেছে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছিল-তবে এই সপ্তাহের গুলির ঘটনা আবার উত্তেজনা উসকে দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘এই হামলার জন্য যারা দায়ী, তাদের পৃথিবীর শেষ কোণ পর্যন্ত খুঁজে বের করা হবে।’
Comments