Image description

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পাওয়া যাবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ। এবারের মিশন শেষ হলো কোনো সমঝোতা চুক্তি ছাড়াই। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আইএমএফ মিশনের সফর শেষে ব্রিফিংয়ে এ-কথা জানান মিশন চিফ ক্রিস পাপা জর্জিও। তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে এখনো অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে ঋণ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনার দরজা খোলা আছে বলেও জানান তিনি।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় তৎকালীন সরকার। সে-সময় নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। পরে ৩ কিস্তিতে ছাড় হয় ২৩১ কোটি ডলার।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, গেলো ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ঘুরে যায় আইএমএফ মিশন। সে সময় ডলারের বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার নির্ধারণ না করা, ৬৩ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে না পারা আর ভর্তুকি কমানোর প্রশ্নে অসন্তোষ প্রকাশ করে মিশন। শঙ্কা তৈরি হয় ঋণের বাকি অর্থ ছাড় নিয়ে।

এবারও ১২ দিনের সফর শেষ হলো কোনো সমঝোতা চুক্তি ছাড়াই। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের প্রধান জানালেন, কিস্তির অর্থ ছাড় পাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে বসন্তকালীন বৈঠকের পর।