
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মাদ্রাসা ছাত্র শহীদ রাব্বির মরদেহ ৯ মাস পর ঢাকার মীরপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে পটুয়াখালীর পারিবারিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় গলাচিপার বাশবাড়িয়ায় জানাজা দিয়ে দাফন দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
শহীদ রাব্বির পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই বাসার জানান, এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শহীদ রাব্বির বাবা জুয়েল মাতব্বর জানান, তার ছোট ছেলে রাব্বি মাতব্বর মিরপুরের তা’লীমুল কোরআন মাদ্রাসার হাফেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই রাতে ঢাকা মডেল কলেজের সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালালে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশের গুলিতে বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় সে। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয়দের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। পরে আজমল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই রাতে রাব্বির মরদেহ নিজ বাড়িতে নিতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বাধা দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ছেলে কেন মিছিলে গেল, তার জন্য মামলায় জড়ানো হবে।’ বাধ্য হয়ে সেদিন মীরপুর কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হয়।
পরবর্তীতে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয় এবং মরদেহ নিজ জেলায় নেওয়ার অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গত ১০ জুলাই মরদেহ উত্তোলন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৩ এপ্রিল রাতে হিমাগার থেকে মরদেহ গ্রহণ করে পরিবার পটুয়াখালী নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয় এবং মরদেহ নিজ জেলায় নেওয়ার অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গত ১০ জুলাই মরদেহ উত্তোলন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৩ এপ্রিল রাতে হিমাগার থেকে মরদেহ গ্রহণ করে পরিবার পটুয়াখালী নিয়ে আসে।
সোমবার সকালে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাশবাড়িয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে শহীদ রাব্বিকে দাফন করা হয়। দাফনে রাজনৈতিক নেতাসহ অন্তত ৫১ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ রাব্বির পিতা জুয়েল মাতব্বর বলেন, ‘আমার ছোট ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
Comments