Image description

আমিন হোসেন আর বিল্লাল হোসেন দুই ভাই। তারা ছোট বেলায় অসহায় মা ও দুই বোন কে নিয়ে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা আসমা গ্রামে একটি পোল্ট্রি মুরগীর ঘরসহ জায়গা খরিদ করে বসবাস শুরু করে। তাদের বাবার নাম সাহাব উদ্দিন, তিনি আরেক সংসার করে ঢাকায় থাকেন। সাহাব উদ্দিন স্ত্রী হালিমা আক্তার ও চার সন্তানের খোঁজ খবর কোন সময় নেয়নি। 

আমিন আর বিল্লাল কখনও রাজমিস্ত্রী কখনও কাঠমিস্ত্রী কখনও হেন ট্রলিতে হেলপার হিসেবে কাজ করে দুমুঠো ভাত যোগাতো। তার মা বৃদ্ধা বয়সেও কঠোর পরিশ্রম করতো। তিনি কয়েক বাসাবাড়ির কাজ একাই করতো।  তিনি এই ছোট সংসার টাকে মনের মতো সাজিয়ে গত বছর এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ১২ বছরের সাজানো সংসার ১০ মিনিটে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় তাদের সাজানো ঘরে আগুন লেগে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

বারহাট্টা ফায়ারসার্ভিস অফিস থেকে জানা যায়, সোমবার সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। তারা জানিয়েছে বিদ্যুতের তার থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘরের সব কিছু পুড়ে ছাই গেছে। 

ভুক্তভোগী আমিন হোসেন বলেন, আমার মায়ের হাতের সাজানো সংসার ১০ মিনিটে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার মা বাসাবাড়িতে কাজ করে এই ঘরটি আমাদের জন্য রেখে গিয়েছিল। আমরা এখন কোথায় থাকবো কি করবো। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমিন আর বিল্লাল সকালে কাজের উদ্দেশ্যে ঘরে তালা দিয়ে চলে যায়। তাদের ঘরে কেউ নেই। গত বছর তার মা মারা গেছে এবং দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। আজ সকালে এই ছোট সংসারের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী মনির মিয়া বলেন, আমি প্রথমেই দেখি ঘরের উপর দিয়ে ধুঁয়া বের হচ্ছে। এরপর দ্রুত কাছে এসে দেখি আগুন ওপরে উঠে গেছে। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ও ফায়ারসার্ভিস অফিসে কল করি। এরমধ্যে এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে কিন্তু ঘরের কিছুই রক্ষা করা যায়নি। 

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খবিরুল আহসান বলেন, আগুন লাগার বিষটি শুনেছি। আমি খুব শিগগিরই সেই স্থানে যাব। এই পরিবারের জন্য কিছু টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।