Image description

পিরোজপুরে সরকারি পানির ট্যাংক ভাগ করা নিয়ে বিএনপিকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে নাজিরপুর উপজেলার খেজুরতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড রঘুনাথপুর গ্রামের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল সিকদার ও তার ভাই এমাম সিকদার। তারা একই এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সরকারি বরাদ্দকৃত পানির ট্যাংক উপজেলার খেজুরতলা বাজারে বসে বিএনপিকর্মীদের মধ্যে ভাগ করা হয়। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা হাফিকুলের সঙ্গে বিএনপির কর্মী শুকুরের কথা-কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে তার দুই ছেলে রাসেল এবং রাহাত শেখ ঘটনাস্থলে চলে আসেন। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে যুবদল নেতা হাফিজুল সিকদার ও তার ভাই এমাম সিকদারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে শুকুর বাহিনী। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আহত দুজনকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তারা।

আহত যুবদল নেতা হাফিজুল সিকদার বলেন, শুকুর একজন ডাকাত। তিনি এলাকায় ডাকাতি করে থাকেন। তার একটি ডাকাতের দল আছে। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ভাইকে কটাক্ষ করে কথা বললে আমি প্রতিবাদ করায় শুকুর বাহিনী আমার ওপর হামলা করে। শুকুর আমার ওপর (কাঁটা রাইফেল) ঠেকিয়ে দেন এবং তার বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ দেন। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। আমার ভাই ঠেকাতে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে।

নাজিরপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জিন্নাত তাসনিম বলেন, দুজনকেই আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের শরীরের কেটে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ক্ষতস্থানে সেলাই করে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।

এ বিষয়ে শুকুরের ছেলে রাসেল জানান, একটি পানির ট্যাংক নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে আমার বাবাকে চায়ের কাপ দিয়ে আঘাত করা হয়। আমরা দুই ভাই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং চায়ের দোকানে থাকা একটি ছুরি হাতে নিলে ধস্তাধস্তির সময় হাফিজুলের গায়ে লেগে যায়। হাফিজুল একজন মাদক ব্যবসায়ী, সে আওয়ামী লীগের সময় তাদের সঙ্গে মিশে মাদকের ব্যবসা করত; এখনো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকবার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকতা মো. রুবেল শেখের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সেখমাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, শুকুর ডাকাত এনামুলের প্রধান সহযোগী ছিল। সে তার দলবল নিয়ে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে হাফিজুলকে কুপিয়ে চলে যায়। তারা স্থানীয় একটি ডাকাতচক্র, তার বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত কর্মকর্তা) বিকাশ চন্দ্র জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানবকণ্ঠ/এসআর