
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ চলছে সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে থেকেই। ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়। মুসলিম এলাকায় মুসলিম লীগের প্রার্থী এবং হিন্দু এলাকায় কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়। রাজনৈতিক গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার ‘আওয়ামী লীগ: উত্থান পর্ব ১৯৪৮-১৯৭০’ গ্রন্থে লিখেছেন: ‘বাঙালি মুসলমান পরিচিত প্রতিবেশী হিন্দুর সঙ্গে এক রাষ্ট্রে বসবাস করবে না, এই লক্ষ্য নিয়ে অপরিচিত দূরবর্তী অঞ্চলের মুসলমানদের সঙ্গে যোগ দিয়ে পাকিস্তান বানাল। তবে মোহভঙ্গ হতে দেরি হলো না।’
১৯৪৮ সালে ২৩ জুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রস্তাব অনুযায়ী সেই দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। ‘আওয়ামী লীগ’ নামটি দিয়েছিলেন মওলানা ভাসানী যার অর্থ ‘জনগণের মুসলিম লীগ’। দলের নামের সঙ্গে মুসলিম শব্দটি থাকায় পরবর্তীতে কেউ কেউ আপত্তি করছিলেন। যদিও মওলানা ভাসানী দলকে অসাম্প্রদায়িক করতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়ার জন্য জোর দিচ্ছিলেন, কিন্তু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চাইছিলেন যে মুসলিম শব্দটি থাকুক। কারণ তার ভয় ছিল, এটা বাদ হলে পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা কমে যাবে,- বলছেন মি. আহমদ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার এবং ’৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপোষ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার জন্য দায়ী? স্বাধীনতার পর থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য একটা ভারসাম্যপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থা নিশ্চিত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ, পুড়ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে যে বাংলাদেশের জš§, সে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুনে পুড়ছে আজও ২০২৪ সালে এসে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সূত্র মতে; হিন্দু জনসংখ্যা ১৯০১ সালে ৩০.০ শতাংশ, ১৯৪১ সালে ২৮.০ শতাংশ, ১৯৫১ সালে ২২.০ শতাংশ, ১৯৬১ সালে ১৮.৫ শতাংশ, ১৯৭৪ সালে ১৩.৫ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ১২.১ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ১০.৫ শতাংশ, ২০০১ সালে ৯.২ শতাংশ, ২০১১ সালে ৮.৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৯.৯ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১০.৭ শতাংশ, ২০২২ সালে ৭.৯৫ শতাংশ। কিন্তু তার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত আছে। যেমন: ১৯৫১ সালে বৌদ্ধ জনসংখ্যা ০.৭০ শতাংশ, ২০২২ সালে ০.৬১ শতাংশ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ০.৩০ শতাংশ।
পত্রিকায় প্রকাশিত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের রিপোর্ট অনুসারে ৫-২০ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত হামলার শিকার সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৬৮। হামলা হয়েছে ২২টি উপাসনালয়ে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ২৯৫টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। রংপুর বিভাগে ২১৯টি, ময়মনসিংহে ১৮৩টি, রাজশাহীতে ১৫৫টি, ঢাকায় ৭৮টি, বরিশালে ৬৮টি, চট্টগ্রামে ৪৫টি এবং সিলেটে ২৫টি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
১৬ জুলাই ২০০১ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঘরে তালা দিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। আমি ১৯৯৮-২০০১ সালে এনজিওতে কর্মরত থাকার সুবাধে দক্ষিণ অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের উপর বহু নির্যাতন নিজে দেখেছি। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ভয়ংকর অত্যাচার চালানো হয়।
পটিয়ায় ১ জনকে পিটিয়ে হত্যা, প্রথম আলো, ১৬ জুলাই ২০০১, ঘরে তালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন, বাঁশখালীতে একই পরিবারের চারজন জীবন্ত দগ্ধ, ২২ জুলাই ২০০১। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে সহিংসতা চালিয়ে ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পীরগঞ্জের হরিদাশ স্ত্রী-সন্তনের মুখ চেপে ধরে সারারাত ধানক্ষেতে লুকিয়ে থাকা, রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও ঘরে ঘরে আগুন, পাহাড়িয়াদের উপর অত্যাচার হয়েছে। নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা, নওগাঁর মহাদেবপুরের দৌল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে লাঞ্ছিত, আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজি ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে ১৯ দিনের কারাভোগ, বাগেরহাটের চিতলমারীতে শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের ওপর হামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ছয় মাসের কারাদণ্ড, নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংসদের সামনে কান ধরে ওঠবস করানো হয়।
৩ জানুয়ারি ২০২০, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরেন জোটের মহাসচিব এডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সরকার দলীয় নেতাকর্মীসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক দ্বারা এবং প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হামলা লুটপাটসহ ৬৮৩টি ঘটনা ঘটে। ৯৫০৭ দশমিক ২২ একর ভূমি জবর দখল হয়েছে। ১০৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
৩৭৮টি পরিবারকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ২২৬১টি পরিবার। ৭৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে ও ৪৩৪টি পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরিবার ও মন্দির লুট হয়েছে ২৭৭টি, বসত বাড়িতে হামলা হয়েছে ৩৮৭টি, অগ্নিসংযোগ করা হয় ৯২টি বাড়িতে, দেশত্যাগের হুমকি পেয়েছে ৬৪১টি পরিবার, জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও ধর্মান্তরের চেষ্টা হয়েছে ১৪৮টি, অপহরণের শিকার হয়েছেণ ৭৬ জন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ২৪৬টি।
সারা দেশে ৬৮৩টি ঘটনায় ৩১,৫০৫ জন ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১০৮ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪২ জন। বাংলাদেশের এই বিষয়ে ভারতের মিডিয়া খুবই সোচ্চার। আসুন দেখি ভারতের অবস্থা। ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদি সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে সব কিছুই করছে। ভারত আগে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র ছিল, কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি নরেন্দ্র মোদি ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান, যেখানে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা (জনসংখ্যার প্রায় ২০%) দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক এবং মুসলমানরা (প্রায় ১৪% ভারতীয়) ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
বিজেপি বরাবরই মুসলমানদেরকে হিন্দুদের থেকে কম ভারতীয় বলে মনে করে। মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যখন ২০০২ সালে তার সময়, ভারতের সবচেয়ে খারাপ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল- অন্তত ১০০০ লোক মারা গিয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলিম। ফলে তা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো তিরস্কার করেছে, যার কারণে ২০০৫ সালে মোদির উপর মার্কিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং তাকে মুসলিমবিরোধী শক্তিশালী ব্যক্তি হিসাবে কুখ্যাতি দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হিন্দু জাতীয়তাবাদী সহিংসতার উপহার স্বরূপ এবং মোদির মুসলিম নিধনের খ্যাতির জন্য ভারতের জনগণ মোদি এবং বিজেপিকে ২০১৪, ২০১৯, ২০২৪ সালে নির্বাচনে জয়ী করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, ‘বিজেপি সরকারের বৈষম্যমূলক এবং বিভাজনমূলক নীতি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়িয়েছে, একটি ব্যাপক ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।’ ‘নিপীড়নের জন্য দায়ীদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনার পরিবর্তে, কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া বেছে নিয়েছে এবং তাদের নিপীড়ন করেছে।’
৩১ জুলাই, হরিয়ানা রাজ্যের নুহ জেলায় একটি হিন্দু মিছিল চলাকালীন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয় এবং দ্রুত সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতার পরে, কর্তৃপক্ষ মুসলিম বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ স্বরূপ অবৈধভাবে শত শত মুসলিম সম্পত্তি ধ্বংস করে এবং অনেক মুসলিম ছেলে ও পুরুষকে আটক করে। ধ্বংসের ফলে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট বিজেপি-নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে ‘জাতিগত নির্মূল’ পরিচালনা করছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেছিল। মে মাসে উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই এবং সংখ্যালঘু কুকি জো সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত, শত শত বাড়িঘর এবং গির্জা ধ্বংস করা হয়।
ট্রাম্পের প্রশাসনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে চলেছেন এক আমেরিকান হিন্দু, প্রাক্তন ডেমোক্র্যাটিক রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেয়া তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি আমেরিকার ন্যাশন্যাল ইনটেলিজেন্সের ডিরেক্টর পদে বসতে চলেছেন। হাওয়াই থেকে কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রথম হিন্দু তিনি। গীতা পাঠ করে শপথগ্রহণ করেছিলেন। একাধিকবার তুলসী গ্যাবার্ডের একাধিক বক্তব্য এবং কাজ ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে।
২০২১ সালে মার্কিন কংগ্রেসে একটি রেজল্যুশন আনেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) পাকিস্তান সেনার নারকীয় অত্যাচারের প্রসঙ্গ তুলে কড়া আক্রমণ করেছিলেন। তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের দুরবস্থার কথা ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন! দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সহিংসতার নিন্দা করেন।
তিনি হামলাকারীদের ‘জিহাদি’ বলে সমালোচনা করেছিলেন, তার ভাষায় যারা ‘বিশ্বাস করে মন্দির পুড়িয়ে দেয়া এবং ধ্বংস করা ঈশ্বরের কাছে খুশি।’ তুলসী বিশেষভাবে ইসকনের কথাও উল্লেখ করেছেন: ‘কান্তজির মন্দির এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেস (ইসকন) মন্দিরের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দুটি হামলায় ডজন ডজন আহত হয়েছে এবং বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ইসলামী চরমপন্থার স্পষ্ট উদাহরণ।’ “২৫ মার্চ, ১৯৭১ ছিল পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে হিন্দুদের একটি নিয়মতান্ত্রিক লক্ষ্যবস্তুর সূচনা।
এটি হিন্দু পাড়া এবং গ্রামে শুরু হয়েছিল, প্রথমে জগন্নাথ হলে, যা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিন্দু ছাত্রাবাস, যেখানে শুধুমাত্র সেই প্রথম রাতেই পাঁচ থেকে দশ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছিল। এই গণহত্যা অভিযান ১০ মাস ধরে চলতে থাকে, ফলে দুই থেকে তিন লাখ মানুষ নিহত হয়।
লাখ লাখ নারী ও মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।” তুলসি গ্যাবার্ড মার্কিন সিনেটর টেড কেনেডিকের বিষয়ে বলেন, ‘তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।’ গ্যাবার্ড, একজন হিন্দু যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামি মতাদর্শকে পরাজিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
Comments