
বলিউডের অভিনেতা শাহরুখ খানের বাড়ি ‘মান্নাত’ এবার নজরদারিতে। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ডে অবস্থিত এই বিলাসবহুল বাংলোটি ঘিরে ওঠা এক অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি পরিদর্শন চালায় ব্রিহানমুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (বিএমসি) এবং বনবিভাগের একটি যৌথ দল। অভিযোগ— চলমান সংস্কার কাজ চলাকালে উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ অঞ্চলের (সিআরজেড) বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামা থেকে জানা যায়, শুক্রবার এই দুই দফতরের প্রতিনিধিরা ‘মান্নাত’ পরিদর্শনে যান। বনবিভাগের একজন কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, “আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমাদের দল সাইট পরিদর্শন করেছে। আমরা এখন তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করছি।”
তবে শাহরুখ খানের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তার ম্যানেজারের ভাষ্য, বর্তমানে কোনো নিয়ম ভাঙা হয়নি। যাবতীয় সংস্কার কাজ অনুমোদিত নির্দেশিকা মেনেই করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিএমসি’র একজন কর্মকর্তা জানান, তারা সরাসরি কোনো তদন্ত চালায়নি। বরং বনবিভাগের অনুরোধে একটি সহায়ক দল হিসেবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তারা।
এর আগে, সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা ও আইনজীবী ওয়াই পি সিং ‘মান্নাত’ সংক্রান্ত একটি ঐতিহাসিক ও আইনগত প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেন, ‘মান্নাত’ আসলে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ভবন ‘ভিলা ভিয়েনা’, যার নাম পরে পরিবর্তন করা হয়। ২০০৫ সালে ঐ ভবনের পেছনে সাত তলা একটি নতুন ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়, যেটি ১২টি ছোট ফ্ল্যাট হিসেবে অনুমোদিত হলেও পরবর্তীতে একত্রিত করে একটি সুপার লাক্সারি বাসস্থানে পরিণত করা হয়।
উল্লেখ্য, শাহরুখ খানের বাংলোটি দীর্ঘদিন ধরেই দর্শনার্থীদের জন্য একটি আইকনিক স্থান হিসেবে পরিচিত। তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনা ‘মান্নাত’কে নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এখনও কিছু স্পষ্ট জানা যায়নি। বনবিভাগ ও বিএমসি’র রিপোর্ট জমা দেয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তবে ইতোমধ্যেই এই ঘটনা মুম্বাইয়ের উপকূলীয় এলাকায় শহুরে পরিকল্পনা, হেরিটেজ সংরক্ষণ এবং তারকাদের সম্পত্তি নিয়ে আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
Comments