Image description

এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে মানুষের কৌতূহল বহুদিনের, আদৌ কি এলিয়েন আছে! এই মহাবিশ্বে মানুষই কি একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী না কি আমাদের মতো আরও বুদ্ধিমান প্রাণী আছে, এমন প্রশ্ন সামনে রেখে রীতিমতো গবেষণা চলছে বহুদিন ধরেই।

যদিও কয়েক দশকের গবেষণার পরও গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। গবেষণায় এলিয়েন নিয়ে প্রায়ই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় একেবারেই নতুন একটি তথ্য সামনে এসেছে।
 
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে এলিয়েনরা পৃথিবীতে গোপনে মানুষের মধ্যে বসবাস করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রাম’ এর একদল গবেষক গবেষণাটি করেছেন। এরই মধ্যে এলিয়েন বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনটিও প্রকাশিত হয়েছে।
 
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই পৃথিবীতেই রয়েছে আমাদের বহু-প্রত্যাশিত এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণীরা। তবে আমরা তাদের চিনতে পারছি না। কারণ তারা ছদ্মবেশে থাকছে। হয়তো মানুষের বেশেই রয়েছে তারা। তাই তাদের চিনতে আরও অসুবিধা হচ্ছে আমাদের।
 
গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তারা হয়তো মাটির নীচে, চাঁদে কিংবা পৃথিবীতে মানুষের ভিড়ে মিশে আছে। গবেষণায় ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস ধারণা নিয়েও অনুসন্ধান করা হয়েছে।
  
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আকাশে ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা তথা ইউএপি বলে যে জিনিসগুলো মানুষ দেখে সেগুলো এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের স্পেসশিপ হতে পারে যার মাধ্যমে এলিয়েনরা পৃথিবীতে তাদের স্বজাতি বা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে আসে।
 
গবেষণাপত্রে 'ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল' বলে একটি ধারণা বা প্রত্যয়ের ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গবেষণার লেখক প্রমাণ ও তত্ত্বের গভীরতা সম্পর্কে ক্রমশ সচেতন হয়ে ওঠেন যা অস্থায়ীভাবে আরেক এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল বা বহির্জাগতিক ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে। আর সেটা হলো 'ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল' সম্পর্কে হাইপোথিসিস বা পূর্বানুমান।
 
‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল’ ধারণা দিয়ে সেই সব ভিনগ্রহী প্রাণীকে বোঝানো হচ্ছে যেগুলো হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে বসবাস করছে। এই ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল চারটি রূপে আবির্ভূত হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। 
  
১. হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা। এরা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কিছু অবশিষ্ট আকারে বিদ্যমান আছে।
 
২. হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা, যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। এরা পৃথিবীতে গোপনে বসবাসের জন্য বিবর্তিত হয়েছিল। এগুলো একটি বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা ‘অজানা বুদ্ধিমান ডাইনোসর’ এর বংশধরও হতে পারে।
 
৩. এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এই প্রাণীরা মহাজাগতিক বা মানব ভবিষ্যত থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছতে পারে এবং চাঁদের মতো লুকিয়ে থাকতে পারে। এবং 
 
৪. ম্যাজিকাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস: এমন সত্তা, যাদের মাঝে স্বদেশী এলিয়েনদের মতো বৈশিষ্ট কম রয়েছে। এই প্রাণীগুলো মানব জগতের সাথে সম্পর্কিত, তবে কম প্রযুক্তিগত। আর এরা বেশ যাদুকর, যেমন পরী।

গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তারা বিজ্ঞানীদেরকে জ্ঞান, নম্রতা ও খোলামেলা মনোভাব নিয়ে তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

সূত্র: এনডিটিভি।


মানবকণ্ঠ/এফআই