Image description

নোয়াখালী জেলা শহরে নিজ বাসায় পড়ে থাকা বাবা এবং মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (৫ জুন) রাতে নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার একটি বহুতল বাসা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 

মৃতরা হলেন- নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তাঁর মেয়ে তিশা দে (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনী জেলায় এলএলবিতে পড়াশোনা করছিলেন। সেখানে এক ছেলের সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিশার বাবা–মা বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার তাঁকে ফেনী থেকে নোয়াখালীতে তাঁদের বাসায় নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা।

এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ কক্ষে নরেশ চন্দ্রের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। নরেশ নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস করতেন। তাঁর ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আলাদা একটি কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় তিশার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, ভোররাতের দিকে স্ট্রোক করে নরেশ চন্দ্র দে মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, বাবার মৃত্যুর আধা ঘণ্টা পর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মানবকণ্ঠ/এআই