Image description

হায় আল্লাহ তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই, তোমার কাছেই বিচার দিলাম। এর বিচার তুমি করো। আমার পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই। যারা আমার আনারস গাছ কেটেছে তাদের তুমি বিচার করো- কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন কৃষক আবদুর রশীদ। শুক্রবার (৩১ মে) মধ্যরাতে কে বা কারা তার লিজ নেওয়া ১৮০ শতক জমির অন্তত ২ হাজার আনারস গাছ কেটে দিয়েছে।

জানা যায়, ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে তার আনারস গাছ কাটার সময় হয়েছিলো। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়েনের বড় ধর্মপুর গ্রামের লালমাই পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লালমাই পাহাড়ে লিজ নেওয়া বিশাল এলাকাজুড়ে আবদুর রশীদের আনারস বাগান। সেখানে ১৮০ শতক জায়গায় গড়ে উঠেছে আনারস বাগান। আনারস গাছগুলো দেখতে বেশ সতেজ। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে গাছ গুলো নিচ থেকে কাটা হয়েছে। ড্রাগন বাগানের ২১টি লাইনের আনারসের অর্ধেক অর্ধেক করে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেছে। তবে কে বা কারা এই আনারস বাগানের গাছ কেটেছে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তার এই বাগানে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের।

আনারস চাষি আবদুর রশীদ বলেন, আমার ২ হাজারের বেশি আনারস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আর মাত্র ১৫/১৮ দিন পর আনারস কাটার সময় ছিল। তার আগেই কেবা কারা গাছগুলো কেটে ফেলেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কত কষ্ট করে এখানে চাষাবাদ করে আসছি। কখনও এমন হয়নি। আমার বাগানের ১৮০ শতক জমিতে প্রায় ৬৫ হাজার আনারস ফলের চারা রোপণ করা হয়েছিল। এর পেছনে আমার প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

ওই এলাকার আরেক কৃষক আবু জাফর বলেন, কে বা কারা এ আনারস গাছ কেটেছে জানিনা। তবে তার বাগান থেকে ২ হাজারের মত আনারস গাছ কাটা হয়েছে। কে এই জঘন্য কাজ করছে তা এখনও জানা যায়নি। প্রশাসনের কাছে আবেদন এই কাজের সাথে যেই জড়িত থাকুক তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, যারা এ জঘন্য কাজ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির খান বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে দেখে যা দেখলাম তাতে আমি নিজেই মর্মাহত। কৃষকরা কত টাকাই বা লাভ পায়, তার মধ্যে আনারস গাছগুলো কেটে ফেলল। আমি কৃষকদের বলেছি তারা যাতে একটি মামলা করে। আমরা ওনাদের কিছু প্রণোদনা দিব। 


মানবকণ্ঠ/এফআই