Image description

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ‘শেষ’।  শনিবার এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাই মনে করি, হ্যাঁ,’ যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক কি ভেঙে গেছে। সম্পর্ক মেরামতের সম্ভাবনা নিয়েও তিনি সাফ জানিয়ে দেন ‘না’। বিবিসি

এই ঘোষণাটি আসে ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ভিত্তিক দ্বন্দ্বের পটভূমিতে। মাস্ক, যিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন এবং হোয়াইট হাউসে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন, সম্প্রতি ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামক কর ও ব্যয় বিলের তীব্র সমালোচনা করেন। বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়াবে বলে দাবি করেন মাস্ক।

মাস্ক বলেন, বিলটি তার নেতৃত্বাধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ)’ এর খরচ কমানোর উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দেবে। ডোজে মাত্র ১২৯ দিন কাজ করার পর তিনি পদত্যাগ করেন এবং এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ বিলটিকে ‘জঘন্য জঞ্জাল’ বলে অভিহিত করেন।

ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি সহজভাবে নেননি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, মাস্কের আচরণে তিনি ‘হতাশ’। জবাবে মাস্ক এক্সে বলেন, ট্রাম্প তার সাহায্য ছাড়া নির্বাচনে জিততে পারতেন না এবং ট্রাম্পকে বিতর্কিত আর্থিক কেলেঙ্কারির মূল চরিত্র জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন। যদিও ওই পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয় এবং এপস্টেইনের আইনজীবী অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ট্রাম্পও চুপ থাকেননি। নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ মাস্ককে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেন এবং ফেডারেল সরকারের সঙ্গে মাস্কের চুক্তি বাতিল করার হুমকি দেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, মাস্কের ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান ছিল ‘বড় ভুল’ এবং তিনি ‘অত্যন্ত চরম’ পথে গেছেন। রিপাবলিকান দলে তার ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে উল্লেখ করেন ভ্যান্স।

এদিকে, মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের সমর্থন দিতে পারেন এমনকি ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদেরও। এ ব্যাপারে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মাস্ক যদি তা করেন, তবে তাকে ‘গুরুতর পরিণতির’ মুখোমুখি হতে হবে।