Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বা যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপি যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে বলে একটি সংবাদমাধ্যমে আসা খবরকে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে তা নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে আদীব বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি এখনো কোনো জোট বা যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। চার দাবিতে আট দলের যুগপৎ কর্মসূচির যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর।’

এর আগে শনিবার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চারটি দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপিও আট দলের যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে : জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, জাতীয় সংসদে পূর্ণ সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

তবে এনসিপির রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আদীব বলেন, ‘জুলাই সনদ এবং নতুন সংবিধান নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে, তবে পূর্ণ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির বিষয়ে এনসিপির কোনো অবস্থান নেই।’


তিনি বলেন, ‘এনসিপি কেবল উচ্চকক্ষের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। পাশাপাশি, সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের দাবি এনসিপির পক্ষ থেকেও সমর্থনযোগ্য।’

গণঅভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতাদের কেন্দ্র করে গঠিত এনসিপি নিয়ে শুরুতে বেশ আলোচনা থাকলেও সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দলটির ভরাডুবি হয়। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয় বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় সাময়িক হতাশা তৈরি হয়েছে। তবে কেউ দল ছাড়ছেন না। বরং দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে এবং রাজনৈতিক অবস্থান আরও সুস্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে দলের দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত জানান, এনসিপি এখন উঠান বৈঠক কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। তিনি বলেন, ‘কোনো নেতা দল ছাড়ছেন—এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’