
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই হামলা কেবল একটি রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং আইনের শাসনের ওপর নগ্ন আঘাত। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও ব্যথিত।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” এই হামলার নিন্দা জানানোর জন্য বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং দেশের সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের প্রতি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার আনিস। তিনি বলেন, “আমরা সবাই পল্লীবন্ধু এরশাদের সারথি। তাঁর গড়া জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এই হামলার নিন্দায় বিএনপির বিবৃতির জন্য আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।”
ব্যারিস্টার আনিস অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিনি বলেন, “জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে সরকার অক্ষম প্রমাণিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেন দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “আইন-শৃঙ্খলার এই অবনতি চলতে থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া সম্ভব নয়। অসাধু চক্র দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, আর সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জাতীয় পার্টি কোনো ষড়যন্ত্র বা দমনপীড়নের কাছে দমে যাবে না। পল্লীবন্ধুর আদর্শ ও জনগণের ভালোবাসায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাব।”
ব্যারিস্টার আনিস সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, সব রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। তিনি বলেন, “অন্যথায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।”
Comments