সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সঙ্গে নিজেদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছে ছাত্রশিবির। এই বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম একটি যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবির বলেছে, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের কলঙ্ক ঢাকতে ছাত্রদল এখন ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে নোংরামি করছে। ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, ছাত্রদলের অনেক নেতা বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত ছিলেন। তারা ২০০২ সালে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি এবং একই বছর ঢাবির শামসুন্নাহার হলে শত শত নারী শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।

ছাত্রশিবির স্পষ্ট করে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাদের সংগঠনের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। বরং ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির এই ব্যক্তির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছাত্রশিবির নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রশ্নে কখনোই আপস করে না। তারা ছাত্রদলকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, "ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকুন।" তারা আরও বলেন, "ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওপেন ইনফরমেশনের এই যুগে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দেবে, নারী নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে অপপ্রচারের জবাব কীভাবে দিতে হয়।"