
অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার দুদিন পর জামায়েতের তরফে এই দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জাতি জুলাই বিপ্লবের অপেক্ষায় ছিল। দেশের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। তবে শত শত মানুষের রক্ত ও জীবন যদি ব্যর্থ হয়ে যায়, তাহলে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। বিচারক হত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং শিক্ষকদের অবদান… এসব কিছুই জুলাই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জুলাইয়ের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়নি। এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষণাপত্রটি সংশোধন করতে হবে।”
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন “জুলাই ঘোষণাপত্রে ইসলামপন্থিদের অবদান মূল্যায়িত হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার তৈরি ঘোষণাপত্রটি অসম্পূর্ণ।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘোষণা বিষয়ে অসন্তুষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হতে পারে। নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে ইতিবাচক বলা হলেও, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনেই ‘জুলাই সনদের’ আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে সেই আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানান পরওয়ার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ‘ছাত্র-শিক্ষক-জনতার অবদান ও করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি এম কোরবান আলী।
সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জামায়াতের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদের সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের জিএম আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদের মুনজুরুল হক, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের নূর নবী মানিক, সভাপতি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের শাহজাহান মাদানী, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদ অধ্যাপক উমার আলী।
Comments