Image description

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে দেশে আরেকটি বড় ধরনের আন্দোলনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক সহ-মুখপাত্র ও অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান, যা এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকেই শেয়ার করেছেন।

মিরাজ মিয়ার অভিযোগ, ৪৪তম বিসিএসের প্রায় ১২ হাজার পরীক্ষার্থীর সঙ্গে রাষ্ট্র বড় ধরনের প্রতারণা করতে যাচ্ছে। তার মতে, নিয়োগযোগ্য অসংখ্য পদ খালি থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে সেগুলো পূরণ করা হচ্ছে না। তিনি উল্লেখ করেন, বিগত ৪০তম, ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএসের ফল প্রকাশের আগে পদসংখ্যা বাড়ানো হলেও, বর্তমান সরকার আমলে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

তিনি সরাসরি প্রধান উপদেষ্টাকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে বলেন, জনপ্রশাসন সচিবের কাছ থেকে পদসংখ্যা বৃদ্ধির চিঠি তার কার্যালয়ে পৌঁছালেও তাতে স্বাক্ষর করা হয়নি। মিরাজ মিয়া আরও বলেন, চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, সবকিছু আবার দলীয়করণ হতে যাচ্ছে। জেনারেল ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডারে পর্যাপ্ত পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সেগুলো পূরণ না করার পেছনে কোনো যুক্তি নেই বলে তিনি মনে করেন।

৪৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ৪৪তম বিসিএসকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিসিএস উল্লেখ করে মিরাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রিলি, লিখিত ও ভাইভায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও পরীক্ষার্থীদের সদিচ্ছার অভাবে খালি হাতে ফিরতে হতে পারে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যাদের আন্দোলনের কারণে বর্তমান সরকার ক্ষমতায়, তাদের কথা কেন শোনা হচ্ছে না।

মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই বার্তা পৌঁছানোর আহ্বান জানান যে, "খালি পদ থাকা সত্ত্বেও ড. ইউনূস পদ বাড়াচ্ছেন না"—শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগের বিষয়ে তার জানা উচিত। এই পরিস্থিতি নতুন করে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।