
সরকারের রাজস্ব আহরণ এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা গতিশীল রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন সকল কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচির কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার রোববার এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে, আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত কার্যক্রমে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তিনি যোগ করেন, পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করলে কারও কোনো সমস্যা হবে না এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে মানুষের সেবা করলে সেখানে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
গেজেটে বলা হয়েছে, জনস্বার্থ রক্ষায় এনবিআরের এসব কার্যক্রম অত্যাবশ্যক। এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৮ এর সেকশন ৩ এর ক্ষমতাবলে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, জনকল্যাণমূলক সেবা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলে, জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হলে এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ধরনের ঘোষণা দেওয়া যায়।
এই ঘোষণা সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, তবে প্রয়োজনে তা বাড়ানো যাবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ঘোষিত চাকরির ক্ষেত্রে সরকার কর্মীদের কর্মস্থল ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকার আদেশ দিতে পারবে এবং ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর জন্য ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থারও সুযোগ আছে আইনে। বর্তমানে ১৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে এখন এনবিআরের উল্লিখিত সব শ্রেণির চাকরি যুক্ত হলো।
Comments