
সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে— ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের জায়গা খালি, অথচ শুল্কে বাজার ভারী। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ নেই। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আনিস আলমগীর বলেন, ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখলাম, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন ঘোষণা দিয়েছেন—আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সব পণ্যের ওপর ৩৫% শুল্ক।
আগে ছিল ৩৭%, এখন কমে ৩৫%—অর্থাৎ আমাদের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়, শান্তির দূত, মার্কিন প্রিয় পাত্র ড. ইউনূসের চিঠির মূল্য মাত্র ২%।
তিনি আরো বলেন, সত্যি বলতে, ট্রাম্প সাহেব চিঠি পেয়ে হেসেছেন, তিন মাস স্থগিত করার সিদ্ধান্ত তো আমি সবার জন্য রেখেছি। তোমার চিঠি পেয়ে খুশি হলাম। তারপর কলম দিয়ে শুল্ক দুই শতাংশ কাটছাঁট করে বলছেন, ‘এতটুকুই পারি ভাই, বাকিটা তোমার দেশের নীতির ওপর নির্ভর করছে।’
চিঠিতে তিনি (ট্রাম্প) আরো বলে দিয়েছেন—বাংলাদেশ যদি আমেরিকার মাটিতে ফ্যাক্টরি বানায়, তাহলে শুল্ক শূন্য। মানে, ‘তোমার দেশের সস্তা লেবার ছেড়ে আমার দেশে আসো’—এই হচ্ছে নতুন বাণিজ্যনীতি, যুক্ত করেন আনিস আলমগীর।
তিনি ফেসবুক পোস্টে আরো লিখেছেন, আরো চমক আছে—শুধু বাংলাদেশ না, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, লাওস, তিউনিশিয়া, এমনকি কাজাখস্তানও বাদ গেল না। তবে অনেকের শুল্ক আমাদের থেকে কম।
তালিকাটা দেখে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প নিজে বসে বসে বিশ্ব মানচিত্রে শুল্কের রং তুলছেন।
এখন আমরা কী করব? পাল্টা শুল্ক বসাব? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি লিখেছেন, উত্তরও ট্রাম্প দিয়ে রেখেছেন— ‘তাহলে তোমার শুল্ক যত, তার সঙ্গে আমারটা জুড়ে নেব। আর ড. ইউনূস? উনি চিঠি লিখে দায়িত্ব শেষ। মাঠে খেলা ট্রাম্প খেললেন একাই, গোলও দিলেন একাই, আমরা শুধু দর্শক। ওনার মহা কাজের কাজী উপদেষ্টা খলিল কি মিটিং করে এলো তাহলে মার্কিনদের সঙ্গে।
এখন হয়তো ইউনূস সাহেব দ্বিতীয় চিঠির খসড়া করবেন—এবার কালি লাল রঙের হবে। এখন লাল জুলাই চলছে।
দেশের অর্থনীতি নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে— ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের জায়গা খালি, অথচ শুল্কে বাজার ভারী। দেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগ নেই, অথচ বাইরের চিঠি চালাচালিতে খুব আগ্রহ। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ড. সাহেবের বিদেশ ভ্রমণে।
Comments