Image description

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এই টিকাদান কর্মসূচি দুই ধাপে পরিচালিত হবে:

১২ থেকে ২২ অক্টোবর: ঢাকা শহরসহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্কুল-কলেজগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

১ থেকে ১০ নভেম্বর: ইউনিয়ন পর্যায়ের টিকাকেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে।

যেভাবে টিকা দেওয়া হবে-

www.vexepi.gov.bd ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে শিশুদের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। যারা রেজিস্ট্রেশন করবে, তারা ১২ অক্টোবর থেকে যেকোনো কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে।

যাদের জন্ম সনদ নেই, তারাও টিকা পাবে। সেক্ষেত্রে তাদের বিস্তারিত তথ্য টিকাকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কাছে দিতে হবে।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টিকাকেন্দ্রগুলো খোলা থাকবে।

টাইফয়েড ও টিসিভি টিকা-

অধ্যাপক জাফর বলেন, টাইফয়েড একটি সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে রোগ। খাওয়ার আগে এবং মলত্যাগের পর ভালোভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে টিকাদানই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। তিনি জানান, বাংলাদেশে ব্যবহৃত টিসিভি (TCV) টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম।

টিকা দেওয়ার পর সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, যেমন: টিকা দেওয়ার স্থানে লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া, হালকা ব্যথা, সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা বা ক্লান্তি ভাব। তবে এগুলো স্বাভাবিক এবং দ্রুত সেরে যায়।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরের শিশুদের জন্য ইপিআই-এর স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে।