
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক ডেটাবেজ ব্যবহারের সুযোগ পায়নি, যা ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে প্রয়োজন। এএফআইএস (অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম) পদ্ধতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের শনাক্তকরণের জন্য এই ডেটাবেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইসির এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, গত মার্চে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলেও ডেটাবেজ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “ডেটাবেজ পেলে রোহিঙ্গাদের শনাক্তকরণ সহজ হতো। না পাওয়ায় বিদ্যমান সিস্টেমে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি।”
বর্তমানে ইসির তথ্যভাণ্ডারে ১২ কোটি ৩৭ লাখের বেশি ভোটারের তথ্য রয়েছে। সম্প্রতি ৪৬ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যারা ৩১ অগাস্ট ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। তবে রোহিঙ্গারা ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরা বাবা-মায়ের এনআইডি, শিক্ষাগত সনদ, জমির দলিলসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাই করছি। বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সরেজমিন তদন্তও হচ্ছে। ডেটাবেজ না পাওয়ায় এই পরিশ্রম বাড়ছে।”
তিনি জানান, ইউএনএইচসিআর ডেটাবেজ ইসির পরিবর্তে অন্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে সেবা পাওয়া যায়নি।
প্রবাসীদের জন্য এনআইডি প্রক্রিয়া সহজ করা হলেও রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে কঠোর তদন্ত চলছে। হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরা কঠোর বার্তা দিয়েছি। বর্তমান ইসি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় ঢোকার প্রবণতা কমেছে।”
Comments