বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আফ্রিদি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের 'উৎসাহিত' করেছিলেন, যা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি বলে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি তুলে ধরে।

আফ্রিদির আইনজীবীরা অবশ্য এর বিরোধিতা করে রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। তারা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা আরও বলেন, মামলার বাদী নিজেই তথ্যগত ভুলের কথা উল্লেখ করে আফ্রিদির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চেয়েছেন। 

আইনজীবীরা তার বাবার সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার একটি ছবি দেখিয়ে বলেন যে, তার বাবার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। একই সঙ্গে, তারা আফ্রিদির কিডনিতে জটিলতার কথা জানিয়ে তাকে আনা-নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সুবিধার আবেদন করেন।

আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে আফ্রিদির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত রোববার (২৪ আগস্ট) বরিশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ১৭ আগস্ট তার বাবা, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই মামলায় আফ্রিদি ১১তম এবং তার বাবা ২২তম আসামি।

 উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আসাদুল হক বাবু। এই ঘটনায় বাবুর বাবা জয়নাল আবেদীন শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।