
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। বিভিন্ন রোগের কারণে জ্বর হতে পারে, যেমন অটোইমিউন সমস্যা, প্রদাহ বা ক্যান্সার। তবে সংক্রমণের কারণেই মূলত সবচেয়ে বেশি জ্বর হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু যখন শরীরে প্রবেশ করে, তখন শরীর তাদের ধ্বংস করার জন্য তার তাপমাত্রা বাড়ায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের এই লড়াইয়ের কারণেই আপনি দুর্বল, ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। এই সময়ে বাড়িতে সঠিক যত্ন নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব।
জ্বরের সময় যেভাবে নিজের যত্ন নেবেন
জ্বরের সময় শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও আরাম দেওয়া জরুরি। এতে জ্বর থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সহজ হয়। অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে দূরে থাকা এবং শরীরকে সময় দেওয়া সুস্থ হওয়ার জন্য অপরিহার্য। এছাড়া আরও যা করতে হবে..
পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণ: জ্বরের কারণে ঘাম, বমি বা ডায়রিয়া হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি, মধু বা ফলের জুস পান করা উচিত। মুরগি বা গরুর মাংসের ঝোল ইলেক্ট্রোলাইট এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
হালকা গরম পানিতে গোসল: শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে ঠান্ডা লাগতে পারে। এমন অবস্থায় হালকা গরম পানিতে গোসল করলে আরাম বোধ হবে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরা: জ্বরের সময় ঠান্ডা লাগলেও ভারী কম্বলের নিচে চাপা না থেকে ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে বাঁচায়।
পুষ্টিকর খাবার: জ্বরে রুচি নষ্ট হলেও শরীরকে শক্তি জোগানোর জন্য খাবার গ্রহণ করা জরুরি। এই সময় তাজা ফলমূল, শাক-সবজি এবং তরল খাবার খেতে হবে। আদা ও রসুন এই সময়ে উপকারী হতে পারে; আদা প্রদাহ কমায় এবং রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
সাধারণত বেশিরভাগ জ্বর কিছুদিনের মধ্যে সেরে গেলেও কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যদি আপনার জ্বর ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে থাকে, তীব্র মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অথবা আপনার অবস্থা খারাপ হতে থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
Comments