
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহম্মেদের বাসায় চাঁদা দাবির মামলায় স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। তিনি জানিয়েছেন, চাঁদার ১০ লাখ টাকা তিনি ও তার সহকর্মী অপু সমানভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে রিয়াদ এই জবানবন্দি দেন।
রিয়াদ তার জবানবন্দিতে বলেন, 'আমি গরিবের ছেলে, তাই টাকার লোভ সামলাতে পারিনি।' তিনি আরও জানান, প্রথমে পুলিশের সঙ্গে সাবেক ওই এমপির বাসায় অভিযান চালাতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে পানি খাওয়ার কথা বলে তারা বাসার ভেতরে ঢোকেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন।
রিয়াদের জবানবন্দি অনুযায়ী, গত ১৭ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জাকির হোসেন মঞ্জুর ফোনের মাধ্যমে গুলশান জোনের ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের অবস্থান সম্পর্কে জানান। এরপর রাত ২টার দিকে তাদের একটি দল থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে দেখা করে। পরে থানা পুলিশের একটি দল তাদের সঙ্গে নিয়ে শাম্মী আহম্মেদের বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে খুঁজে না পেয়ে তারা ফিরে আসেন।
রিয়াদ জানান, ফিরে আসার পর জানে আলম অপু তাকে বলেন যে, তিনি ওই বাসা থেকে শাম্মীর একটি এয়ারপড নিয়ে এসেছেন। পরে এয়ারপড ফেরত দেওয়ার কথা বলে তারা দুজন আবার ওই বাসায় যান। সেখানে অপু পানি খাওয়ার কথা বলে ভেতরে ঢোকেন এবং শাম্মীর স্বামীকে ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকায় রফা হয় এবং সেই টাকা তারা দুজন ভাগ করে নেন।
বাকি ৪০ লাখ টাকা নিতে গত ২৫ জুলাই রিয়াদসহ অন্যরা আবারও ওই বাসায় গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তবে অপু পালিয়ে যান। রিয়াদের জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও তিন আসামি মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকেও রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই তিনজনও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা ছিলেন এবং ঘটনার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়।
Comments