
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দির মধ্যে ৫৬ জনের সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে ৪৫ জনকে ৫৬৯ ধারায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১০ জনকে আগেই কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন।
বুধবার (২ জুলাই) কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া ও উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদের পাঠানো পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে একজন, কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে ৪ জন, কাশিমপুর কারাগার-১ থেকে একজন (পূর্বের সাজা শেষে মুক্তি), সিলেট কারাগার থেকে ৪ জন (একজন পূর্বে মুক্তি), সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে একজন, ময়মনসিংহ কারাগার থেকে ৪ জন, কুমিল্লা কারাগার থেকে ৩ জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া কারাগার থেকে একজন, ফরিদপুর কারাগার থেকে একজন, জয়পুরহাট কারাগার থেকে ২ জন, চুয়াডাঙ্গা কারাগার থেকে একজন (পূর্বেই মুক্তি), মুন্সিগঞ্জ কারাগার থেকে একজন, ঢাকা কারাগার থেকে একজন মুক্তি পাচ্ছেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে একজন (পূর্বেই মুক্তি), চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে একজন, রংপুর কারাগার থেকে একজন, কুড়িগ্রাম কারাগার থেকে একজন, রাজশাহী থেকে ৭ জন (৪ জন পূর্বেই মুক্তি), চট্টগ্রাম কারাগার থেকে ২ জন (একজন পূর্বেই মুক্তি), কক্সবাজার কারাগার থেকে একজন, কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে ৩ জন, নরসিংদী কারাগার থেকে একজন, সিরাজগঞ্জ কারাগার থেকে একজন (পূর্বেই মুক্তি), খুলনা কারাগার থেকে একজন (মৃত্যুবরণ করেছেন), নওগাঁ কারাগার থেকে একজন, হবিগঞ্জ কারাগার থেকে একজন ও সিলেট কারাগার-২ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন একজন।
কারাগারের পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, মোট ৬৫ জনের মুক্তির আদেশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৫ জনকে ৫৬৯ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়। ১০ জন আগেই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া একজন বন্দি খুলনা কারাগারে মারা গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মধ্যে ৫৬ জনের সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। এই ৫৬ জন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বন্দি রয়েছেন জানিয়ে যাবজ্জীবনের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে সরকার। কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া ও উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ এ তথ্য জানান।
Comments