Image description

দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর পর সিরাজগঞ্জ পৌর যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন। নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক (৩৮)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, একই মহল্লার কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা (৪২) ও বাদল সেখ (৩৯), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৩)।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) হামিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার ১৮ জন আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদন্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নিহত গোলাম মোস্তফার সঙ্গে আসামিদের সামাজিক, ব্যবসায়িক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর গোলাম মোস্তফা ফজরের নামাজ আদায় শেষে ভোরে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। প্রাতভ্রমণ শেষে তিনি পৌর শহরের পাশে রানীগ্রাম পশ্চিমপাড়া বাজারের একটি চা স্টলে বসলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, ছোড়া, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারেকুল ইসলাম তারেক তার হাতের রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। অন্য আসামিরাও তাকে উপুর্যপুরি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ জুন ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এ আদেশ দেন।