
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদ্য সাবেক সদস্য মো. শামসুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে সাতকানিয়া উপজেলার আরও চারজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি এলডিপিতে যোগ দেওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শামসুল ইসলামের সঙ্গে এলডিপিতে যোগ দেওয়া অন্যান্য নেতারা হলেন: উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের নেতা ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মনির আহমদ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আবু তালেব সিকদার, সাহেব মিয়া, এবং ইউপি সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রোকেয়া বেগম। এদের মধ্যে আবু তালেব সিকদারও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা শামসুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে অর্থ সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত ২ মার্চ চট্টগ্রাম নগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এলডিপির এক নেতা জানিয়েছেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শামসুল ইসলাম সম্প্রতি ঢাকায় গিয়ে কর্নেল অলির সঙ্গে দেখা করেন। এরপর গত ১৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এলডিপিতে যোগ দেন। তার যোগদানের বিষয়ে শামসুল ইসলাম বলেন, "অলি সাহেব আমার এলাকার এমপি ছিলেন। আমার এলাকার সমর্থকেরা জোর করে এলডিপিতে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। পরিবারসহ ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।"
এলডিপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মো. এয়াকুব আলী একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে তারা প্রাথমিক সদস্যপদ পূরণ করেছেন। তিনি আরও যোগ করেন, তাদের যোগদানের পর বিভিন্ন অভিযোগ আসছে এবং বিষয়টি দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে এলডিপিতে যোগ দিলে তদন্ত করে তাকে বরখাস্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়দের কারও কারও অভিযোগ, এই নেতারা বছরের পর বছর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত থেকে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায় করে এখন রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য এলডিপিতে যোগ দিচ্ছেন। এই দলবদল চট্টগ্রাম-১৪ আসনের (চন্দনাইশ উপজেলা ও আংশিক সাতকানিয়া) রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, কারণ এই অঞ্চলের কেঁওচিয়া ইউনিয়নে কর্নেল অলির একটি প্রভাব রয়েছে।
Comments