
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৩ জনে। বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ঘটনাগুলো গত ২৪ ঘণ্টায় ঘটেছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে গাজায় দুর্ভিক্ষ এখন একটি বাস্তবতা। ইসরায়েলের অবরোধ এবং অব্যাহত হামলার কারণে জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে না পারায় শিশুদের না খেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক বিবৃতিতে কর্মকর্তারা গাজার এই দুর্ভিক্ষকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্ট মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক উপপ্রধান জয়েস মুসুইয়া বলেন, উত্তর ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি দক্ষিণের দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহার ও দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছেন, যা সেপ্টেম্বরের শেষে ৬ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
জয়েস মুসুইয়া আরও বলেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখ ৩২ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ হাজারেরও বেশি শিশু আগামী মাসগুলোতে জীবন-সংকটের মুখোমুখি হবে। এটি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং একটি সংঘাতের পরিণতি যা বিপুল প্রাণহানি, ধ্বংসযজ্ঞ ও বাস্তুচ্যুতি ডেকে এনেছে।
Comments