
পাকিস্তানে চলমান ভারী বৃষ্টিপাত ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশ এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর বিবিসির।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যায় বেঁচে যাওয়া আজিজুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, "এমন বন্যা হয়েছিল যেন ‘কিয়ামত’ নেমে এসেছে।" তিনি আরও বলেন, "আমি শক্তিশালী শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে যেন পাহাড় ধসে পড়ছে। আমি বাইরে বের হয়ে দেখি পুরো এলাকা ধসে গেছে। পানির তোড়ে মাটি ধসে গেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে মৃত্যু আমাকে এই বুঝি ধরে ফেলল।"
খাইবার পাখতুনওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গাদাপুর এই দুর্যোগের কারণে একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া চরমভাবাপন্ন হয়েছে। যার ফলে অতি বৃষ্টি বা খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রায় ২৫৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার অর্ধেকই পাঞ্জাবে বাস করে যেখানে গত বছরের তুলনায় এবার ৭৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
Comments