Image description

হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে তীব্র গোলাগুলির ঘটনায় দেশটিতে অবস্থিত দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (৪ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য তাদের কূটনৈতিক চত্বরে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে এবং বাহিরে যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর দ্য ব্লাসেলস টাইমসের।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, দূতাবাসের নিকটবর্তী তাবারে এলাকায় ‘তীব্র গোলাগুলির’ ঘটনা ঘটেছে। কর্মকর্তাদের সব ধরনের সরকারি সফর স্থগিত করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, সোমবার সকাল থেকেই সেখানে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তিনি জানান, পুলিশ ও সশস্ত্র গ্যাং সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ২০২৪ সাল থেকে দেশটির রাজধানী ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা গ্যাং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর উপশহর পেতিওন-ভিলে এক রেস্তোরাঁ থেকে সাবেক সেনেটর নেনেল ক্যাসিকে গ্রেপ্তার করেছে হাইতি ন্যাশনাল পুলিশ (পিএনএইচ)। ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পলাতক ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অর্থায়ন, হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা ও অপরাধ চক্রে যোগদানের অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত হাইতিতে অন্তত ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছেন।

সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে রোববার রাতে রাজধানীর একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে ৯ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে আছেন আয়ারল্যান্ডের এক মিশনারি, যিনি একটি অনাথ আশ্রম হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন এবং তিন বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশু।

মানবিক সংগঠন ‘নস পেতি ফ্রের এ স্যুর’ ও খ্রিস্টান সংগঠন ‘লা ফঁদাসিও স্যাঁ লুক’ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অগ্রহণযোগ্য সহিংসতার প্রতিবাদে তারা তাদের নেটওয়ার্কের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে এবং অপহৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধই থাকবে।