
অবরুদ্ধ গাজায় চরম মানবিক সংকট ও দুর্ভিক্ষের মুখে কানাডা বিমান থেকে খাদ্য সহায়তা ফেলেছে। এই প্রথমবারের মতো কানাডার সামরিক বাহিনী এমন সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করল। একইসঙ্গে দেশটি গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে আবারও অভিযুক্ত করেছে।
সোমবার কানাডা সরকারের দেওয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় কানাডার সশস্ত্র বাহিনী একটি সিসি-১৩০জে হারকিউলিস বিমান ব্যবহার করে গাজায় ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ড (প্রায় ৯৭৯৭ কেজি) মানবিক ত্রাণ ফেলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কানাডা, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, জার্মানি এবং বেলজিয়াম যৌথভাবে মোট ১২০টি খাদ্য সহায়তার প্যাকেট ফেলেছে।
কানাডা অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েলি বাধার কারণে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার পক্ষে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন। দেশটি ইসরায়েলকে অবিলম্বে এই বাধা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিষয়ে অটোয়ায় নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েল বরাবরই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং মানবিক সংকটের জন্য হামাসকে দায়ী করে।
কানাডা সরকার আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়বে।
রয়টার্স-এর সূত্র অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও বিশ্ব নেতাদের সমালোচনার মুখে মে মাসে আংশিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। তবে উপত্যকাটিতে এখনো কিছু বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।
Comments