
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
কোম শহরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রথম রাতে গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার নিহত হলেও ইরানের মহাকাশ বাহিনী পশ্চিমা বিশ্বের তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করে ইসরায়েলের গভীরে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের তৈরি শত শত যুদ্ধবিমান, উন্নত রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১২০০ কিলোমিটার জুড়ে মোতায়েন থাকলেও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছেছে। ইসরায়েল মার্কিন সমর্থন ও পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র ব্যবহার করে ইরানের অবকাঠামো ধ্বংস ও সামরিক নেতৃত্ব হত্যার কৌশল গ্রহণ করলেও ব্যর্থ হয়েছে।
জেনারেল শেকারচি বলেন, যুদ্ধের সপ্তম দিনে ইসরায়েল পরাজয়ের মুখে পড়ে এবং নবম দিনে তারা যুদ্ধ চালানোর ক্ষমতা হারায়। ইরানের হামলায় ইসরায়েলি সেনারা ৭০ বছরে প্রথমবারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে বাধ্য হয়। ইরানের আক্রমণে ইসরায়েলের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজের বরাতে জানা গেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা উন্মোচন করেছে, যা বিশ্বের সর্বাধুনিক হিসেবে পরিচিত।
Comments