
গত মাসে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে ১২ দিনের এক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইসরায়েল গত ১৩ জুন ভোরে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বন্ধ করার লক্ষ্যে আকস্মিকভাবে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। যদিও ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরান শুরুতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিল, তবে খুব দ্রুতই তারা নিজেদের সামলে নেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানি বাহিনী পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে। এই হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে সফলভাবে আঘাত হানে।
তীব্র হামলা পাল্টা হামলার পর গত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ১২ দিনের এই সংঘাতে উভয় পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। ইরান কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ করলেও ইসরাইলি সরকার তাদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করে।
এরপরও আস্তে আস্তে দেশটির ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সামনে আসছে। শনিবার (৫ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পরিচালিত স্যাটেলাইট তথ্যের বরাতে দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, একটি বৃহৎ বিমানঘাঁটিসহ পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে সফল হামলা চালিয়েছে ইরান। কিন্তু এসব হামলার তথ্য প্রকাশ করেনি ইসরাইল।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে, ছয়টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য ইসরাইলের পাঁচটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। এর মধ্যে একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র এবং একটি সরবরাহ ঘাঁটি রয়েছে।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ দিনের যুদ্ধের ফলে ইরান ৪০টিরও বেশি ইসরাইলি অবকাঠামোতে সফলভাবে সরাসরি আঘাত করে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সামরিক ঘাঁটিতে আঘাতের খবরের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ইসরাইলি এবং মার্কিন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ৮৪ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
Comments