Image description

গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলার মুখে এবার দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে জার্মানি। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মানবিক আইন লঙ্ঘন করে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো অস্ত্র ইসরায়েলকে সরবরাহ করবে না বার্লিন। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎসও গাজার চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর তিরস্কার হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি উভয়ই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর লাগামহীন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানি তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনছে। এই ঘটনা ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও তাদের ইসরায়েল নীতি পুনর্বিবেচনা করতে উৎসাহিত করেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডাও গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

সম্প্রচারমাধ্যম ডব্লিউডিআর-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির ঐতিহাসিক সমর্থনকে কোনোভাবেই লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। এর আগে ফিনল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর মের্ৎসও গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার সমালোচনা করেছিলেন।

ঐতিহাসিকভাবে জার্মানির নেতারা ইসরায়েলের জন্য একটি বিশেষ দায়িত্ব পালনের নীতি অনুসরণ করে থাকেন। সেই প্রেক্ষাপটে দেশটির চ্যান্সেলরের এই কড়া সুর তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্য দিয়ে জার্মানির জনগণের মতামতেরও একটি বিরাট পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেছেন, "আমরা এখন এমন একটি জায়গায় আছি, যেখানে আমাদেরকে খুব সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হচ্ছে যে, কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। আমরা যেখানেই ক্ষতি হওয়ার বিপদ দেখব, সেখানেই হস্তক্ষেপ করব। আর আরও ক্ষতি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা নিশ্চিতভাবেই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখব।"

(সূত্র: রয়টার্স)