Image description

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালে গত বুধবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। এর প্রভাবে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং ছয়টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল ধরনের ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারাদিন মানুষ ঘরবন্দি জীবনযাপন করছে।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বরিশাল নদীবন্দরকে ২ নম্বর এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছোট আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে এবং এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কখনও মুষলধারে, কখনও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে রয়েছে ঝড়ো হাওয়া, যার গতি সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।

টানা বৃষ্টির কারণে স্কুল ও অফিসগামী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর, পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে, মেঘনা নদীর পানি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে, বলেশ্বর নদীর পানি পিরোজপুর সদর উপজেলা পয়েন্টে এবং কঁচা নদীর পানি উমেদপুর পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

ছয়টি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের অনেক জনপদ পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।