
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২৬ জন ফিলিস্তিনির অনাহারে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অঞ্চলটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু অনাহারে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
বুধবার (২১ মে) আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সীমিত মানবিক সহায়তা পুনরায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার একদিন পরও গাজায় কোনো সাহায্য বিতরণ করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়ছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে যে তারা গাজার "বিপর্যয়কর" পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী একটি চুক্তি পর্যালোচনা করবে।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সতর্ক করে বলেছেন, প্রায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে হাজার হাজার শিশু আসন্ন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে, যা গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে দিয়েছে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় সমস্ত খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী সাহায্য প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছিল। সোমবার থেকে প্রথমবারের মতো অল্প পরিমাণে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, তা তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হয়নি, যা মানবিক সংস্থাগুলোর মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় মানবিক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থার (UNRWA) প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, গাজায় যে ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে তা বর্ণনা করার জন্য শব্দ ফুরিয়ে গেছে।
Comments