Image description

পাকিস্তানে হামলা চালানোর ঘটনায় ভারতকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যায়িত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, তারা পাকিস্তানের ভেতরে পাঁচটি জায়গায় ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে। এই ঘৃণ্য আগ্রাসনমূলক পদক্ষেপ শাস্তি ছাড়া পার পাবে না। বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি খবর বিবিসি।

শাহবাজ শরিফ বলেছেন, কোনো উসকানি ছাড়া ভারতের এই হামলার সুনির্দিষ্ট জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের আছে এবং উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুরো দেশবাসী সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের মনোবল ও সংকল্প অটুট রয়েছে। পাকিস্তানের সাহসী কর্মকর্তা ও সেনাদের জন্য আমাদের দোয়া ও শুভ কামনা রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শক্তি ও সংকল্পের জন্য যে হুমকি মোকাবিলা ও সেটাকে পরাজিত করার জন্য পাকিস্তানের জনগণ ও এর বাহিনীগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। শত্রুপক্ষকে কখনো তার কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে দেওয়া হবে না।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এ হামলায় পাকিস্তানে অন্তত দুই শিশুসহ আটজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে জানিয়েছেন, ভারত বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ কাপুরুষরা (ভারতীয়রা) তাদের নিজেদের আকাশসীমা থেকে হামলা চালিয়েছে। তারা তাদের বাড়ি কখনো ছাড়েনি। তাদের বের হতে দিন। আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত। 

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে। পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের ওপর কোনো হামলা চালানো হয়নি।