
মরক্কোর বংশোদ্ভূত মার্কিন র্যাপার ফ্রেঞ্চ মন্টানার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের কন্যা রাজকুমারী শেইখা মাহরা মোহাম্মদ রাশিদ আল মাকতুম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ার এক বছর পর মন্টানার সঙ্গে বাগদানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক বিনোদনের খবরবিষয়ক ওয়েবসাইট টিএমজেডকে মন্টানার একজন প্রতিনিধি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মন্টানার প্রকৃত নাম করিম খারবুশ। তিনি মরক্কোর বংশোদ্ভূত মার্কিন র্যাপার।
টিএমজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুনে প্যারিস ফ্যাশন উইকের সময় শেইখা মাহরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মন্টানা। প্যারিসের ওই ফ্যাশন উইকে ৪০ বছর বয়সী র্যাপার মন্টানা প্রথমবারের মতো থ্রি ডট প্যারাডাইসের রেডি-টু-ওয়্যার স্প্রিং/সামার ২০২৬ শোয়ের র্যাম্পে হাঁটেন।
প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়া ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি এখন মুছে ফেলেছেন শেইখা মাহরা। সেই পোস্টে দুবাইয়ের এই রাজকুমারী লিখেছিলেন, প্রিয় স্বামী, তুমি এখন অন্য সঙ্গীদের নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছ। এই সময়ে আমি আমাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিচ্ছি। আমি তোমাকে তালাক দিলাম, তালাক দিলাম, তালাক দিলাম।’’ প্রথম স্বামীর সংসারে শেইখা মাহরার এক বছরের বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
‘আনফরগেটেবল’ এবং ‘নো স্টাইলিস্টের’ মতো হিট গানের জন্য পরিচিত ফ্রেঞ্চ মন্টানার সঙ্গে রাজকুমারীর প্রেমের সম্পর্কের খবর প্রথম জানাজানি হয় ২০২৪ সালের অক্টোবরে। এরপর তাদেরকে একসঙ্গে প্যারিসের প্যঁ দেস আর্টসে, মরুভূমিতে উটের পিঠে আরোহণে এবং দুবাই ও মরক্কোয় খাবার খেতে দেখা যায়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আবারও শিরোনামে আসেন এই জুটি। ওই সময় প্যারিস ফ্যাশন উইকের হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাদের। টিএমজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিস ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে হাঁটার কিছুক্ষণ পরই শেইখা মাহরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মন্টানা।
২০২৩ সালের মে মাসে আমিরাতের শিল্পপতি শেখ মানা বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ বিন মানা আল মাকতুমকে বিয়ে করেছিলেন শেইখা মাহরা। এক বছর পর তাদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
দুবাইয়ের আলোচিত এই রাজকুমারীর সঙ্গে ফ্রেঞ্চ মন্টানার বাগদানে তাদের উভয় পরিবারের সায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে বিয়ের পিঁড়িতে তারা কবে বসছেন, তা ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
Comments