
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়টি এখন বেশ আলোচিত। এদিকে মামলাটি হওয়ার পর ডিপজলের পাশে দাঁড়িয়েছেন শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও গুণী অভিনেত্রী আনোয়ারা তনয়া অভিনেত্রী রুমানা ইসলাম মুক্তি। এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিজ সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এটা নিয়ে একটু পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টটি তুলে ধরা হলো।
মুক্তি প্রথমেই লিখেছেন, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে প্রচারণায় নিয়মিত এফডিসিতে আসতেন ডিপজল ভাই। মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর পরিচালক সমিতিতে যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে সমিতির আঙিনায় ঝটলা দেখতে পান। তার ভিড়ে একজন নারী কান্না করছেন। ওই নারীর বুকে ডিপজল ভাইয়ের ছবি। নিজেকে ভক্ত দাবি করে একটি বার ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উপস্থিত সাংবাদিক ও পরিচালকদের সহযোগিতা কথা বলার সুযোগ পান তিনি। সেই সুযোগে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে ডিপজল ভাইয়ের কাছে সহযোগিতা চান ওই নারী। ডিপজল ভাই বললেন ঠিক আছে নির্বাচনের পর দেখবো।
শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ। শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন সময় এফডিসিতে ওই নারী তার সন্তান নিয়ে আসেন ডিপজল ভাইয়ের আসার খবরে। অনেক সময় দেখা করতে পেরেছেন আবার অনেক সময় পাননি। তবে সেসময় অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেয়েছেন কিনা সেটা জানি না।
মুক্তি আরও লিখেন - তার কিছু দিন পর প্রেস ক্লাবে ইলিয়াস কাঞ্চন মামার কাছে ডিপজল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কান্নাকাটি করেন। তখন সেই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ইলিয়াস কাঞ্চন মামা পাগল ভক্ত বুঝতে পেরে হয়তো এড়িয়ে গেছেন। গাবতলীর গরুর হাটে এই নারীর বিভিন্ন পাগলামির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে আছে।
হঠাৎ করেই গতকাল সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি একই নারী ডিপজল ভাইয়ের বিরুদ্ধে মা/র/ধ/র ও অ্যা-সি-ড নিক্ষেপের অভিযোগে মা-ম-লা করেছেন। বিষয়টি দেখে খুবই অবাক হয়েছি। কারণ, কয়েক মাস আগেও ভক্ত দাবি করে পাগলামি করেছে, সেসব ভিডিও ইউটিউব এখনো রয়েছে। আর তিনিই এখন গুরুতর একটা অভিযোগ এনেছেন। এতে পরিস্কার যে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মা-ম-লা। অন্যদের প্রচারণায় তিনি এই মামলা করেছেন তা স্পষ্ট। তার এবং তাদের উদ্দেশ্য অসৎ।
মুক্তি শেষে লিখেছেন, গতকাল ডিপজল ভাইয়ের এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানতে পারি এই নারী অসহায়ত্বের কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছেন। ধারণা করছি, অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য হয়তো তিনি এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।
মহামান্য আদালতের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা সুষ্ঠ তদন্ত করে এর বিচার করবেন। যারা এই নারীকে ব্যবহার করে এসব কাজ করছে, তাদেরকেও প্রকাশ্যে আনবেন। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে শিল্পীদের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগের নামে হয়রানি বন্ধ হোক।
Comments