Image description

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন। চেম্বারের সংঘবিধি ও সংঘ স্মারক অনুযায়ী নির্বাচনের ৬০ দিন আগে সদস্যপদ নবায়নকৃত নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ফলে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার মধ্যে সদস্যপদ নবায়নে সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শনিবার চট্টগ্রাম চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম চেম্বারে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর সরাসরি আর কোনো ভোট হয়নি। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এমএ লতিফ তার পছন্দের ব্যবসায়ীদের নেতা বানিয়ে কমিটি গঠন করতেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বঞ্চিত ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের মুখে চেম্বার সভাপতি, দুই সহসভাপতি ও ২১ পরিচালক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। গত ১১ আগস্ট নির্বাচন বোর্ডের প্রধান ও চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মনোয়ারা বেগম চেম্বার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচনী বোর্ড।

১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। ফরম বিক্রি হবে ১৪ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর। ২১ সেপ্টেম্বর জমাদানের শেষ তারিখ। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও ৫ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসকের দায়িত্ব নেন তৎকালীন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। প্রথমে ১২০ দিন মেয়াদ ছিল; পরে আরও দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ৩ জুলাই প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে তার মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়ানো হয়। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ।