অনিয়ম, দুর্নীতি, ঋণ খেলাপি: ব্যাংক বহির্ভূত ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত

অনিয়ম, দুর্নীতি ও খেলাপির কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে ব্যাংক বহির্ভূত ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকের আমানত ফেরত দেয়ার সক্ষমতাও হারিয়েছে অনেক আগেই। পরিস্থিতি উত্তরণে কোন উপায় না পেয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপিতে নুইয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখা অসম্ভব মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বন্ধ না করে একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
শুধু ব্যাংকই নয় বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও হরি লুট হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। নামে বেনামে ঋণের নামে লোপাট হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। যার বড় অংশই এখন খেলাপি। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না এসব প্রতিষ্ঠান।
বছরের পর বছর লোকসানে থাকা ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ ৬০ থেকে ৯৯ শতাংশ। তবে, আমানতকারীদের স্বার্থের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিষ্ঠান বন্ধ কোন সমাধান নয়। বরং অনিয়মের সাথে জড়িত নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসহ সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বিশ্লেষকরা। একই সাথে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী হবে সে বিষয়টি পরিস্কার করতে হবে বলে জানান তারা।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যাদের কারণে এগুলো হয়েছে তাদেরকেও জবাবদিহিতার ভেতরে নিয়ে আসতে হবে। সেটা না হলে পরবর্তীতে আবার হবে না সেটার কোনো নিশ্চয়তা আমরা রাখতে পারব না।’
আমানতকারীদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান বিশ্লেষকরা।
Comments