
দেশের আমদানি ব্যয়ের বকেয়া বাবদ গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের জন্য ১.৮৮ বিলিয়ন বা ১৮৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। তবে এখনো সেই বিল সমন্বয় হয়নি। দুই দিন সময় লাগতে পারে। বিল সমন্বয় হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়নের ঘরে নামতে পারে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এই আকুর বিল পরিশোধ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এর আগে সর্বশেষ গত ৯ মার্চ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের আমদানির জন্য ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল। ওই সময় বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে। তবে এরপরের মাসগুলোতে রিজার্ভ আবারও বেড়েছে।
সূত্র জানায়, এবারের আকু’র বিল গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ওই বছরের মে-জুন সময়ের জন্য আমদানির বিপরীতে আকু’র বিল বাবদ সর্বোচ্চ ১৯৬ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।
সূত্র মতে, ২০২২ সালের আগে প্রতি মাসে গড়ে ২০০ কোটি ডলার আকুকে পেমেন্ট করতে হতো। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানিতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করায় পরিমাণটি কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আকু সদস্য দেশগুলো থেকে আমদানিও হ্রাস পাওয়ায় পেমেন্ট কমে যায়।
প্রসঙ্গত আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দফতর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। সাধারণভাবে আকুর বিল পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ হতে দুয়েকদিন সময় লাগে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়।
Comments