
মেঘালয়ে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকার পরেও সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান অব্যাহত রয়েছে। কালিঞ্জিবাড়ী, জালিয়াখলা, নয়াগ্রাম, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী, টিপরাখলা, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, তলাল, ডিবির হাওর, কেন্দ্রী, কেন্দ্রী হাওর, মিলাটিলা, ছাগল খাউরী, আদর্শগ্রাম, বাননঘাট, শ্রীপুর, মোকামপুঞ্জি, শান্তিমাইর জুম, মোকামবাড়ী ও নলজুরী (জৈন্তাপুর) সহ অন্তত ৩০টি সীমান্তপথ দিয়ে প্রতিদিনই অবাধে প্রবেশ করছে গরু-মহিষ, কসমেটিক্স, ভারতীয় শাড়ি, আমদানি নিষিদ্ধ নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, মোবাইল ফোন, লেহেঙ্গা, চকলেট, ওষুধ, টাটা গাড়ির যন্ত্রাংশ, চিনি, সুপারি, নিম্নমানের চা, এবং মাদকদ্রব্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ বহাল থাকলেও চোরাকারবারিরা সীমান্তের অরক্ষিত অংশ ব্যবহার করে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র গোপনে সক্রিয় থেকে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসছে।
সীমান্ত এলাকার সচেতন মহল মাদকদ্রব্য যেমন ফেন্সিডিল, কসিড্রিল, ইয়াবা ও মদের চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মাদকের সহজলভ্যতা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এছাড়াও, নিম্নমানের ভারতীয় পণ্যের অবাধ প্রবেশ দেশীয় ব্যবসায়ীদের জন্য অশনি সংকেত বয়ে আনছে।
স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সীমান্ত এলাকার বিস্তীর্ণতা এবং দুর্গমতার কারণে নজরদারিতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সীমান্তবাসীদের দাবি, শুধু রাতের কারফিউ জারি করে চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা, সীমান্ত এলাকায় স্থায়ী বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সীমান্ত অঞ্চলে চোরাচালান রোধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
Comments