Image description

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি সোমবার থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আশা করছেন। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেওয়া সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘আমি পুতিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে তুরস্কে অপেক্ষা করব।’

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জেলেনস্কি এসব কথা লিখেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। 

জেলেনস্কি লিখেছেন, যুদ্ধবিরতির ইউক্রেনের প্রস্তাবটি আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এ ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া কী, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে কিয়েভ।

এর আগে জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছিলেন, পুতিনের প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেনে অবশ্যই একটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকতে হবে।

গতকাল জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘রুশরা অবশেষে যুদ্ধ শেষ করার কথা বিবেচনা করতে শুরু করেছে। এটি ইতিবাচক লক্ষণ। গোটা বিশ্ব দীর্ঘ সময় ধরে এটির জন্য অপেক্ষা করছে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সোমবার থেকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘যেকোনো যুদ্ধ সত্যিকার অর্থে শেষ করার প্রথম পদক্ষেপ হলো যুদ্ধবিরতি। আর একটি দিনও হত্যার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কোনো মানে হয় না। আমরা আশা করি রাশিয়া ১২ মে থেকেই একটি সম্পূর্ণ, স্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে।’

এর আগে শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ‘আমরা অবিলম্বে শুরু করতে চাই (শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা)। আগামী ১৫ মে ইস্তাম্বুলে এটি হতে পারে। তবে কোনো পূর্ব শর্ত ছাড়াই এটি হওয়া উচিত।’

পুতিন আরও বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে গুরুতর আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সংঘাতের মূল কারণগুলোর সমাধান করা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’

এর পরদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলিনস্কিও জানালেন, তিনি তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার জন্য প্রস্তুত।