
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েচে আহত ১৭ জন। নগরীর অক্সিজেন থানাধীন পাবলিক স্কুল গেট এলাকায় ট্রাকের চাপায় নাসিমা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারী নাসিমা বেগম রাউজান উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
জানা যায়, তিনি স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। অক্সিজেনের পাবলিক স্কুল গেট এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সড়কে পড়ে গেলে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ট্রাকচালক রিপনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, নিহতের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অপরদিকে, চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দোহাজারীতে দুটি সিএনজি অটোরিকশা ও যাত্রীবাহী ঈগল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় ৭জন আহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সোনা বটতল এলাকায়এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- চন্দনাইশ পৌরসভার কারেজির বাড়ির ফাতেমা বেগম (৭৫), তার পুত্রবধূ শামিমা আকতার (৪২) এবং ওষুধ কোম্পানি অপসোনিনের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. শরীফ (৩০)।
গুরুতর আহতরা হলেন, অটোরিকশা চালক মাহবুব, জুকুম বাহার, জাকের হোসেন, মারুফ, পলাশ, রহিম ও বেবি আকতার। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁদের সবাইকে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দোহাজারী হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সকালে কক্সবাজারমুখী একটি ঈগল পরিবহনের বাসের সাথে দুটি সিএনজি অটোরিকশার সাথে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে দোহাজারী হাসপাতাল ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ও ঈগল পরিবহনের বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে, সীতাকুণ্ডে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মোহাম্মদ আলী (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় আইরিন পরিবহন নামে একটি বাস কুমিরা ইলিয়াস পেট্টোল পাম্প এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এসময় সড়কের পাশের একটি ভলকানাইজিং দোকানের মালিকও বাসে চাপা পড়ে কাদায় নিমজ্জিত হন। এ ঘটনায় বাসে থাকা অন্তত ১০ যাত্রী কমবেশি আহত হলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় তারা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান।
খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকার দিয়ে বাসটি খাদ থেকে তুললে মাটিতে গেঁথে থাকা ভলকানাইজিং শপের মালিক মোহাম্মদ আলীকে উদ্ধার করা হলেও তিনি মারা যান।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা বলেন, বাস উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশের এক দোকানিকে ধাক্কা দেয়। এতে তার শরীরের মাথা থেকে অর্ধেক অংশ কাদায় চাপা পড়ে। তবে তার পা ছিল বাইরে। ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশের রেকার দিয়ে বাস তুলে সে লোকটিকে উদ্ধার করার অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মারা গেছেন।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একজন মানুষ মারা গেছে। আর আহতরা তেমন গুরুতর নন। তারা নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে গেছেন।
Comments