
রাজশাহীর বাগমারায় জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চালকল মালিক কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান চঞ্চলের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা কৃষকদল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বাগমারা প্রেসক্লাবে এই সম্মেলনে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানায়।
কৃষকদলের নেতাকর্মীরা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর ভবানীগঞ্জ সরকারি খাদ্য গোডাউনে নিম্নমানের চালের সন্ধান পাওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তারা তা পরীক্ষা করেন। এ ঘটনায় চালকল মালিকদের দায়ী করে অপপ্রচার শুরু হয়। মনিরুজ্জামান চঞ্চল গোডাউন পরিদর্শনে গেলে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেকের উপস্থিতিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ডিএম শাহীন ও জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ মামুন তাকে পরিকল্পিতভাবে লাঞ্ছিত করেন।
লিখিত বক্তব্যে মনিরুজ্জামান চঞ্চল বলেন, “এই ঘটনা কেবল আমার ব্যক্তিগত নির্যাতন নয়, চালকল শিল্পের মালিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।” তিনি জানান, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও তাঁতীদল শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করলেও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা স্বীকার করেছে।
অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ মামুন ও ডিএম শাহীন দাবি করেন, ঘটনাটি সাধারণ তর্কাতর্কির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান চঞ্চল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাষ্টার জিল্লুর রহমান, সান্টু মোল্লাহ, দ্বীপপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি সেকেন্দার আলী, ঝিকরা ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যোগীপাড়ার সভাপতি মোজাফফর আলী, গনিপুরের সভাপতি আফজাল হোসেন, মাড়িয়ার সভাপতি দিপু মেম্বার, যোগীপাড়ার সাধারণ সম্পাদক আলম সাহেব প্রমুখ।
বক্তারা তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি ও অপপ্রচার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, “এমন ঘটনা কৃষক সম্প্রদায়ের মর্যাদাকে আঘাত করে। আমরা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল ও তাঁতীদলের শীর্ষ নেতাদের কাছেও বিচার দাবি করছি।” তারা জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
Comments